বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫   বৈশাখ ১৮ ১৪৩২   ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১২৫

মান্দা মহানগর কলেজে জাল স্বাক্ষরে নিয়োগ বাণিজ্যের তদন্ত শুরু 

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২৩  

নওগাঁর মান্দায় সভাপতির জাল স্বাক্ষরে ‘মান্দা মহানগর কলেজ’ এর বিভিন্ন পদে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান সরজমিনে এসব বিষয়ে তদন্ত করেন।

 

এসময় তিনি কলেজ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও অভিযোগকারী সামন্ত কুমার সরকার, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ দেওয়ান রুহুল আমিনসহ শিক্ষক-কর্মচারী ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। 

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভূয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও যোগসাজসী বোর্ড গঠন করে বিভিন্ন পদে ১৩জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেন ‘মান্দা মহানগর কলেজ’ অধ্যক্ষ রুহুল আমিন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন কলেজ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি সামন্ত কুমার সরকার।

 

জানা যায়, মান্দা মহানগর কলেজ ২০১২ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সামন্ত কুমার সরকার। এ সময়ে কলেজের বিভিন্ন পদে ৩০ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। 

 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে সাবেক সভাপতি সামন্ত কুমার সরকারের দায়িত্বকালে কলেজটিতে আরও ১৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো ব্যানবেইস এর ওয়েবসাইড থেকে কলেজের অতিরিক্ত পদে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের বিষয়টি জানাজানির পর বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন তিনি।

 

কলেজের সাবেক সভাপতি সামন্ত কুমার সরকার বলেন, ‘আমার কার্যকালে অতিরিক্ত পদে কোনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বিষয়টি জানার পর কলেজ অধ্যক্ষ রুহুল আমিনকে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র দেখাতে বলেছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে তিনি টালবাহানা করেন।’

 

সাবেক সভাপতি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিয়োগ সংক্রান্ত রেজুলেশন তৈরি করা হয়েছে। এর পর ভূয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ যোগসাজসী বোর্ড গঠন করে ওইসব পদে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন অধ্যক্ষ রুহুল আমিন। বিষয়টি তদন্তের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছি।’ 

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মান্দা মহানগর কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষ রুহুল আমিনকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও রিসিভ করেন না।

 

এ প্রসঙ্গে নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, জাল স্বাক্ষরে নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত শুরু করা হয়েছে। নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র, সভাপতির স্বাক্ষরসহ বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরো খবর